আমাদের বাংলাদেশ

পতেঙ্গা সৈকত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র

পতেঙ্গা সৈকত বন্দর নগরী চট্রগ্রাম শহর থেকে ১৪ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। এটি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। পতেঙ্গা একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নৌ একাডেমী এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সন্নিকটে। রাতের বেলা এখানে নিরাপত্তা বেশ ভালো এবং রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো থাকে। স্থানীয় লোকের মতে,এখানে সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার অত্যন্ত সস্তায় পাওয়া যায়। তেমনি একটি জনপ্রিয় খাবার হল,মসলাযুক্ত কাঁকড়া ভাজা,যা সসা ও পিঁয়াজের সালাদ সহকারে পরিবেশন করা হয়।

বাংলাদেশের অহংকার কক্সবাজার

কক্সবাজারের আদিনাম কি ছিল জানেন? পালংকি বা প্যানোয়া, যার অর্থ “হলুদ ফুলের দেশে”। ব্রিটিশ শাসনামলে সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট হিরাম কক্সকে পাঠানো হয় এই হলুদ ফুলের দেশে, এবং তিনি এসেই একটা বাজার স্থাপন করে ফেলেন। হিরাম কক্সের নাম অনুসারেই বাজারটির নামকরন করা হয়- কক্সবাজার! এবং পরবর্তীতে জেলার নামও হয়ে ওঠে তাই।

বাংলাদেশের শীতের পিঠাপুলি

শীত আসি আসি করছে। নতুন চাল, নতুন গুড়ের ঘ্রাণে ম-ম হবে চারপাশ। নানা রকম পিঠাপুলির রেসিপি দেখে নিন এখনই।

৩৪ তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষার ফল

৩৪ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৮২২ জন। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এর ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার এই ফল প্রকাশ করা হয়।

অপরূপ সাঙ্গু নদী

ক্যাচিং ঘাট থেকে একটু দূরে যাওয়ার পরই রূপ খুলল সাঙ্গুর। দুই পাশে পাহাড়, একটু পর পর নদের বাঁক। পাহাড়জুড়ে বিশাল কলাবাগান, সারি সারি আরও নানা জাতের গাছপালা ও পাখপাখালির ডাক, পাহাড়িদের জুম চাষের নানা ফলন, আঁকাবাঁকা পথে ঝুড়ি কাঁধে মহিলাদের যাত্রা, সব মিলে দারুণ মুগ্ধতা চারপাশে।


Monday, December 29, 2014

দেশের ৫৮ জেলায় বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক চালু

দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবার বিস্তৃতি করতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ইতোমধ্যে ৫৮টি জেলায় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক চালু করেছে। ২০১৬ সাল নাগাদ ইন্টারনেট সুবিধা ১ হাজারটি ইউনিয়নে চালু করার প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে। শনিবার ইন্টারনেট সোসাইটি (আইসক) বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের আয়োজনে 'ইন্টারনেট সিম্পোজিয়াম বাংলাদেশ' অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য জানান।

আয়োজনের শুরুতে ইন্টারনেট সোসাইটি ও ইন্টারনেটের বর্তমান প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। এর পর ‘রোল অব ইন্টারনেট গর্ভনেন্স ফর এ মোর অ্যাকসেবল ইন্টারনেট’ এবং ‘ইন্টারনেট গর্ভনেন্স টুওয়ার্ডস সেফার ইন্টারনেট ফর কিডস’ বিষয়ে আলাদা আলাদা দুটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের সহ-সভাপতি মোঃ রবিউল আলমের সঞ্চালনায় ‘রোল অব ইন্টারনেট গর্ভনেন্স ফর এ মোর অ্যাকসেবল ইন্টারনেট’ শীর্ষক প্রথম সেশনে আলোচক প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের জিআইইউ ইউনিটের ডেপুটি ডিরেক্টর রোকন উল হাসান, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সেক্রেটারি জেনারেল ইমদাদুল হক, বিটিসিএল এর সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, ইথিকস টেলিকমিউনিকেশনস প্রাইভেট লি. এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল হোসেন ও অগমিডিয়াএক্স এর পিপল ফর পারফরম্যান্স ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম।

এ সময় আলোচকরা বলেন, গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট সাশ্রয়ী খরচে সবার হাতের নাগালে পৌঁছাতে হবে। ইন্টারনেট সবার হাতের নাগালে পৌঁছাতে আমাদের দেশের কর্তৃপক্ষকে সচেতনভাবে এবং দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে ইন্টারনেটে সুবিধা চালু করার বিষয়টি খুব বেশি পরিকল্পিতভাবে করা হয়নি জানিয়ে আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট গেটওয়ে ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসার ক্ষেত্রে করপোরেট গ্রাহকদের বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সাধারন গ্রাহকদের জন্য আরও ইন্টারনেট সুবিধা দিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুরাইয়া পারভীন এর সঞ্চালনায় ‘ইন্টারনেট গর্ভনেন্স টুওয়ার্ডস সেফার ইন্টারনেট ফর কিডস’ সেশনে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউএফপি এর হেড অফ আইটি ফারজানা মিথুন, বাংলাদেশ ওমেন আইটি’র (বিডাব্লিউআইটি) চেয়ারপারসন লুনা শামসুদ্দোহা, গ্রামীণফোনের হেড অব করপোরেট রেসপনসিবিলিটি দেবাশীষ রায় ও এটুআই প্রোগ্রামের লোকাল ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট সুপর্ণা রায়।

এ সময় আলোচকরা ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ রাখতে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। শিশুদের নিরাপদ রাখতে মা-বাবা সচেতনতা, ইন্টারনেট বিষয়ে দায়িত্বশীলতা এবং শিশুদের পাশে থাকার বিষয়ে পরামর্শ দেন বক্তারা। এ বিষয়ে যথাযথ নীতি নির্ধারণের ওপরও গুরুত্ব দেন তাঁরা। শিশুদের যাতে নিরাপদ ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যায় সে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বক্তারা।

Tuesday, December 23, 2014

অপরূপ সাঙ্গু নদী

উদ্দেশ্য নৌকাভ্রমণ, ক্যাচিং ঘাট থেকে বেতছড়া বাজার পর্যন্ত। বান্দরবান যতবার এসেছি ততবার শুনেছি অপরূপ সাঙ্গু নদীর কথা। কিন্তু আসার সময় হয়ে ওঠেনি। এবার চলেই এলাম।
ক্যাচিং ঘাট থেকেই দরদাম ঠিক করে ভাড়া করা হলো নৌকা। যেতে-আসতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় অনায়াসে ২০ জন বসা যায়। ভাড়া ঠিক হলো ৯০০ টাকা। নদীভ্রমণেই তো এলাম, ছইয়ের তলায় বসে কী করব। কড়া রোদেও তাই বসে পড়লাম নৌকার ছাদে। তবে বেশিক্ষণ রইল না রোদের উত্তাপ। একটু পরই নৌকা পাহাড় ঘেঁষে ছায়ায় চলতে লাগল।
ক্যাচিং ঘাট থেকে একটু দূরে যাওয়ার পরই রূপ খুলল সাঙ্গুর। দুই পাশে পাহাড়, একটু পর পর নদের বাঁক। পাহাড়জুড়ে বিশাল কলাবাগান, সারি সারি আরও নানা জাতের গাছপালা ও পাখপাখালির ডাক, পাহাড়িদের জুম চাষের নানা ফলন, আঁকাবাঁকা পথে ঝুড়ি কাঁধে মহিলাদের যাত্রা, সব মিলে দারুণ মুগ্ধতা চারপাশে। পাহাড়-নদের চোখধাঁধানো মিতালি বন্দী করে রাখলাম ক্যামেরায়। ছবি তুলতে তুলতে যেন হাঁপিয়ে উঠলাম।
আমরা রোয়াংছড়ি ঢোকার পর রোদ মিষ্টি হতে শুরু করল। দলে কেউ কেউ গা এলিয়ে দিল আরামে। কিছুটা ক্লান্তও আমরা। সকালে শিলকুম ঝরনায় গিয়েছিলাম, পানি বেশি না থাকলেও খুব সুন্দর। কথিত আছে, এখানে প্রতিবছর একটি হরিণ দেখা যায় এবং হরিণটি ডাকলে ওই দিন বা পরের দিন ওই পথে গাড়ি দুর্ঘটনা হয়। চোখ বুজে আসছে। এ সময়ে সচকিত হয়ে দেখি, আঁকাবাঁকাভাবে এক সাপ পার হচ্ছে নদী। সঙ্গে সঙ্গে ক্লিক! নদীর পাড় ছেয়ে গেছে সাদা বকে। মাছ শিকারের অপেক্ষায় বসে আছে তারা দল বেঁধে। বেতছড়ার কাছাকাছি আসার পর নদের রূপ বেড়ে গেল আরও। বেতছড়া নেমে বাজারে একটু ঘোরাঘুরি। গরম গরম চা-ও চলল।
পাশেই বেতছড়া সেনাক্যাম্প, চাইলে অনুমতি নিয়ে ঘুরে আসা যায়। এবার ফেরার পালা। দুপুরের পর যাত্রা শুরু, এখন বেলা প্রায় শেষ। হেলে পড়া সূর্যের লালচে আলোয় সাঙ্গু এখন অন্য রকম। ইঞ্জিনের ভটভট শব্দটাই শুধু একটু জ্বালাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বা বান্দরবান থেকে সহজেই ঘুরে আসা যায় সাঙ্গু। সারা বছরই পানি থাকে বিশাল সাঙ্গুতে।

কীভাবে যাবেনচট্টগ্রাম বা ঢাকা থেকে বান্দরবান আসবেন। তারপর টমটম নিয়ে ক্যাচিং ঘাট যাবেন। ওখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে ঘুরে আসুন বেতছড়া বাজার। ওখানে থাকার ব্যবস্থা নেই, তাই সন্ধ্যার আগেই বান্দরবান শহরে ফিরে যাবেন।  দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার যাত্রায় চাইলে মাঝপথে কিছুটা বিরতি নিতে পারেন।

৩৪ তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষার ফল

৩৪ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৮২২ জন। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এর ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার এই ফল প্রকাশ করা হয়।
পরীক্ষার ফল দেখতে ক্লিক করুন

এই বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হবেন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা।

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ.ই.ম. নেছার উদ্দিন জানান, কমিশনের ওয়েবসাইটে ৩৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল পাওয়া যাচ্ছে। আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে।

এছাড়া টেলিটক মোবাইল থেকেও জানা যাবে পরীক্ষার ফল। মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে BCS স্পেস 34 স্পেস রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠালে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Thursday, December 18, 2014

পতেঙ্গা সৈকত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র

পতেঙ্গা সৈকত বন্দর নগরী চট্রগ্রাম শহর থেকে ১৪ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। এটি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। পতেঙ্গা একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নৌ একাডেমী এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সন্নিকটে। রাতের বেলা এখানে নিরাপত্তা বেশ ভালো এবং রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো থাকে। স্থানীয় লোকের মতে, এখানে সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার অত্যন্ত সস্তায় পাওয়া যায়। তেমনি একটি জনপ্রিয় খাবার হল,মসলাযুক্ত কাঁকড়া ভাজা, যা সসা ও পিঁয়াজের সালাদ সহকারে পরিবেশন করা হয়। সন্ধাকালে সৈকতে চমৎকার ঠাণ্ডা পরিবেশ বিরাজ করে এবং লকজন এখাঙ্কার মৃদু বাতাস উপভোগ করে। পুরা সৈকত জুড়ে সারিবদ্ধ পাম গাছ আছে। অসংখ্য মাছ ধরার নৌকা এখানে নোঙ্গর করা থাকে। এছাড়া পর্যটকদের জন্য স্পীডবোট পাওয়া যায়। অধিকাংশ পর্যটক পতেঙ্গা সৈকতে আসে সূর্যাস্ত ও সূর্যদ্বয়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য।

Monday, December 15, 2014

বাংলাদেশ পূর্ণ করতে যাচ্ছে বিজয়ের ৪৩ তম বছর

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্র আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের আদলে মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে। পঁচিশে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ হত্যা করে। গ্রেফতার করা হয় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙ্গালীর তৎকালীন প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পরিকল্গপিত গণহত্যার মুখে সারাদেশে শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধযুদ্ধ, জীবন বাঁচাতে প্রায় ১ কোটি মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালী সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ দেশকে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর কব্জা থেকে মুক্ত করতে কয়েক মাসের মধ্যে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে মুক্তিবাহিনী সারাদেশে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য লাভ করে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যখন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে, তখন পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। অত:পর ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরিভাবে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে ইতোমধ্যে পর্যদুস্ত ও হতোদ্যম পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
অবশেষে ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান ৯৩,০০০ হাজার সৈন্যসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এরই মাধ্যমে নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান হয়।
প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙ্গালী জাতির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র  বাংলাদেশ
এ বছর বাংলাদেশ পূর্ণ করবে বিজয়ের ৪৩ তম বছর।