আমাদের বাংলাদেশ

পতেঙ্গা সৈকত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র

পতেঙ্গা সৈকত বন্দর নগরী চট্রগ্রাম শহর থেকে ১৪ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। এটি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। পতেঙ্গা একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নৌ একাডেমী এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সন্নিকটে। রাতের বেলা এখানে নিরাপত্তা বেশ ভালো এবং রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো থাকে। স্থানীয় লোকের মতে,এখানে সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার অত্যন্ত সস্তায় পাওয়া যায়। তেমনি একটি জনপ্রিয় খাবার হল,মসলাযুক্ত কাঁকড়া ভাজা,যা সসা ও পিঁয়াজের সালাদ সহকারে পরিবেশন করা হয়।

বাংলাদেশের অহংকার কক্সবাজার

কক্সবাজারের আদিনাম কি ছিল জানেন? পালংকি বা প্যানোয়া, যার অর্থ “হলুদ ফুলের দেশে”। ব্রিটিশ শাসনামলে সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট হিরাম কক্সকে পাঠানো হয় এই হলুদ ফুলের দেশে, এবং তিনি এসেই একটা বাজার স্থাপন করে ফেলেন। হিরাম কক্সের নাম অনুসারেই বাজারটির নামকরন করা হয়- কক্সবাজার! এবং পরবর্তীতে জেলার নামও হয়ে ওঠে তাই।

বাংলাদেশের শীতের পিঠাপুলি

শীত আসি আসি করছে। নতুন চাল, নতুন গুড়ের ঘ্রাণে ম-ম হবে চারপাশ। নানা রকম পিঠাপুলির রেসিপি দেখে নিন এখনই।

৩৪ তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষার ফল

৩৪ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৮২২ জন। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এর ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার এই ফল প্রকাশ করা হয়।

অপরূপ সাঙ্গু নদী

ক্যাচিং ঘাট থেকে একটু দূরে যাওয়ার পরই রূপ খুলল সাঙ্গুর। দুই পাশে পাহাড়, একটু পর পর নদের বাঁক। পাহাড়জুড়ে বিশাল কলাবাগান, সারি সারি আরও নানা জাতের গাছপালা ও পাখপাখালির ডাক, পাহাড়িদের জুম চাষের নানা ফলন, আঁকাবাঁকা পথে ঝুড়ি কাঁধে মহিলাদের যাত্রা, সব মিলে দারুণ মুগ্ধতা চারপাশে।


Monday, December 29, 2014

দেশের ৫৮ জেলায় বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক চালু

দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবার বিস্তৃতি করতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ইতোমধ্যে ৫৮টি জেলায় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক চালু করেছে। ২০১৬ সাল নাগাদ ইন্টারনেট সুবিধা ১ হাজারটি ইউনিয়নে চালু করার প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে। শনিবার ইন্টারনেট সোসাইটি (আইসক) বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের আয়োজনে 'ইন্টারনেট সিম্পোজিয়াম বাংলাদেশ' অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য জানান।

আয়োজনের শুরুতে ইন্টারনেট সোসাইটি ও ইন্টারনেটের বর্তমান প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। এর পর ‘রোল অব ইন্টারনেট গর্ভনেন্স ফর এ মোর অ্যাকসেবল ইন্টারনেট’ এবং ‘ইন্টারনেট গর্ভনেন্স টুওয়ার্ডস সেফার ইন্টারনেট ফর কিডস’ বিষয়ে আলাদা আলাদা দুটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের সহ-সভাপতি মোঃ রবিউল আলমের সঞ্চালনায় ‘রোল অব ইন্টারনেট গর্ভনেন্স ফর এ মোর অ্যাকসেবল ইন্টারনেট’ শীর্ষক প্রথম সেশনে আলোচক প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের জিআইইউ ইউনিটের ডেপুটি ডিরেক্টর রোকন উল হাসান, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সেক্রেটারি জেনারেল ইমদাদুল হক, বিটিসিএল এর সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, ইথিকস টেলিকমিউনিকেশনস প্রাইভেট লি. এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল হোসেন ও অগমিডিয়াএক্স এর পিপল ফর পারফরম্যান্স ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম।

এ সময় আলোচকরা বলেন, গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট সাশ্রয়ী খরচে সবার হাতের নাগালে পৌঁছাতে হবে। ইন্টারনেট সবার হাতের নাগালে পৌঁছাতে আমাদের দেশের কর্তৃপক্ষকে সচেতনভাবে এবং দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে ইন্টারনেটে সুবিধা চালু করার বিষয়টি খুব বেশি পরিকল্পিতভাবে করা হয়নি জানিয়ে আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট গেটওয়ে ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসার ক্ষেত্রে করপোরেট গ্রাহকদের বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সাধারন গ্রাহকদের জন্য আরও ইন্টারনেট সুবিধা দিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুরাইয়া পারভীন এর সঞ্চালনায় ‘ইন্টারনেট গর্ভনেন্স টুওয়ার্ডস সেফার ইন্টারনেট ফর কিডস’ সেশনে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউএফপি এর হেড অফ আইটি ফারজানা মিথুন, বাংলাদেশ ওমেন আইটি’র (বিডাব্লিউআইটি) চেয়ারপারসন লুনা শামসুদ্দোহা, গ্রামীণফোনের হেড অব করপোরেট রেসপনসিবিলিটি দেবাশীষ রায় ও এটুআই প্রোগ্রামের লোকাল ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট সুপর্ণা রায়।

এ সময় আলোচকরা ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ রাখতে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। শিশুদের নিরাপদ রাখতে মা-বাবা সচেতনতা, ইন্টারনেট বিষয়ে দায়িত্বশীলতা এবং শিশুদের পাশে থাকার বিষয়ে পরামর্শ দেন বক্তারা। এ বিষয়ে যথাযথ নীতি নির্ধারণের ওপরও গুরুত্ব দেন তাঁরা। শিশুদের যাতে নিরাপদ ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যায় সে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বক্তারা।

Tuesday, December 23, 2014

অপরূপ সাঙ্গু নদী

উদ্দেশ্য নৌকাভ্রমণ, ক্যাচিং ঘাট থেকে বেতছড়া বাজার পর্যন্ত। বান্দরবান যতবার এসেছি ততবার শুনেছি অপরূপ সাঙ্গু নদীর কথা। কিন্তু আসার সময় হয়ে ওঠেনি। এবার চলেই এলাম।
ক্যাচিং ঘাট থেকেই দরদাম ঠিক করে ভাড়া করা হলো নৌকা। যেতে-আসতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় অনায়াসে ২০ জন বসা যায়। ভাড়া ঠিক হলো ৯০০ টাকা। নদীভ্রমণেই তো এলাম, ছইয়ের তলায় বসে কী করব। কড়া রোদেও তাই বসে পড়লাম নৌকার ছাদে। তবে বেশিক্ষণ রইল না রোদের উত্তাপ। একটু পরই নৌকা পাহাড় ঘেঁষে ছায়ায় চলতে লাগল।
ক্যাচিং ঘাট থেকে একটু দূরে যাওয়ার পরই রূপ খুলল সাঙ্গুর। দুই পাশে পাহাড়, একটু পর পর নদের বাঁক। পাহাড়জুড়ে বিশাল কলাবাগান, সারি সারি আরও নানা জাতের গাছপালা ও পাখপাখালির ডাক, পাহাড়িদের জুম চাষের নানা ফলন, আঁকাবাঁকা পথে ঝুড়ি কাঁধে মহিলাদের যাত্রা, সব মিলে দারুণ মুগ্ধতা চারপাশে। পাহাড়-নদের চোখধাঁধানো মিতালি বন্দী করে রাখলাম ক্যামেরায়। ছবি তুলতে তুলতে যেন হাঁপিয়ে উঠলাম।
আমরা রোয়াংছড়ি ঢোকার পর রোদ মিষ্টি হতে শুরু করল। দলে কেউ কেউ গা এলিয়ে দিল আরামে। কিছুটা ক্লান্তও আমরা। সকালে শিলকুম ঝরনায় গিয়েছিলাম, পানি বেশি না থাকলেও খুব সুন্দর। কথিত আছে, এখানে প্রতিবছর একটি হরিণ দেখা যায় এবং হরিণটি ডাকলে ওই দিন বা পরের দিন ওই পথে গাড়ি দুর্ঘটনা হয়। চোখ বুজে আসছে। এ সময়ে সচকিত হয়ে দেখি, আঁকাবাঁকাভাবে এক সাপ পার হচ্ছে নদী। সঙ্গে সঙ্গে ক্লিক! নদীর পাড় ছেয়ে গেছে সাদা বকে। মাছ শিকারের অপেক্ষায় বসে আছে তারা দল বেঁধে। বেতছড়ার কাছাকাছি আসার পর নদের রূপ বেড়ে গেল আরও। বেতছড়া নেমে বাজারে একটু ঘোরাঘুরি। গরম গরম চা-ও চলল।
পাশেই বেতছড়া সেনাক্যাম্প, চাইলে অনুমতি নিয়ে ঘুরে আসা যায়। এবার ফেরার পালা। দুপুরের পর যাত্রা শুরু, এখন বেলা প্রায় শেষ। হেলে পড়া সূর্যের লালচে আলোয় সাঙ্গু এখন অন্য রকম। ইঞ্জিনের ভটভট শব্দটাই শুধু একটু জ্বালাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বা বান্দরবান থেকে সহজেই ঘুরে আসা যায় সাঙ্গু। সারা বছরই পানি থাকে বিশাল সাঙ্গুতে।

কীভাবে যাবেনচট্টগ্রাম বা ঢাকা থেকে বান্দরবান আসবেন। তারপর টমটম নিয়ে ক্যাচিং ঘাট যাবেন। ওখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে ঘুরে আসুন বেতছড়া বাজার। ওখানে থাকার ব্যবস্থা নেই, তাই সন্ধ্যার আগেই বান্দরবান শহরে ফিরে যাবেন।  দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার যাত্রায় চাইলে মাঝপথে কিছুটা বিরতি নিতে পারেন।

৩৪ তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষার ফল

৩৪ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৮২২ জন। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এর ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার এই ফল প্রকাশ করা হয়।
পরীক্ষার ফল দেখতে ক্লিক করুন

এই বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হবেন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা।

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ.ই.ম. নেছার উদ্দিন জানান, কমিশনের ওয়েবসাইটে ৩৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল পাওয়া যাচ্ছে। আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে।

এছাড়া টেলিটক মোবাইল থেকেও জানা যাবে পরীক্ষার ফল। মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে BCS স্পেস 34 স্পেস রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠালে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Thursday, December 18, 2014

পতেঙ্গা সৈকত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র

পতেঙ্গা সৈকত বন্দর নগরী চট্রগ্রাম শহর থেকে ১৪ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। এটি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। পতেঙ্গা একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নৌ একাডেমী এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সন্নিকটে। রাতের বেলা এখানে নিরাপত্তা বেশ ভালো এবং রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো থাকে। স্থানীয় লোকের মতে, এখানে সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার অত্যন্ত সস্তায় পাওয়া যায়। তেমনি একটি জনপ্রিয় খাবার হল,মসলাযুক্ত কাঁকড়া ভাজা, যা সসা ও পিঁয়াজের সালাদ সহকারে পরিবেশন করা হয়। সন্ধাকালে সৈকতে চমৎকার ঠাণ্ডা পরিবেশ বিরাজ করে এবং লকজন এখাঙ্কার মৃদু বাতাস উপভোগ করে। পুরা সৈকত জুড়ে সারিবদ্ধ পাম গাছ আছে। অসংখ্য মাছ ধরার নৌকা এখানে নোঙ্গর করা থাকে। এছাড়া পর্যটকদের জন্য স্পীডবোট পাওয়া যায়। অধিকাংশ পর্যটক পতেঙ্গা সৈকতে আসে সূর্যাস্ত ও সূর্যদ্বয়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য।

Monday, December 15, 2014

বাংলাদেশ পূর্ণ করতে যাচ্ছে বিজয়ের ৪৩ তম বছর

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্র আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের আদলে মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে। পঁচিশে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ হত্যা করে। গ্রেফতার করা হয় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙ্গালীর তৎকালীন প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পরিকল্গপিত গণহত্যার মুখে সারাদেশে শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধযুদ্ধ, জীবন বাঁচাতে প্রায় ১ কোটি মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালী সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ দেশকে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর কব্জা থেকে মুক্ত করতে কয়েক মাসের মধ্যে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে মুক্তিবাহিনী সারাদেশে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য লাভ করে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যখন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে, তখন পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। অত:পর ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরিভাবে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে ইতোমধ্যে পর্যদুস্ত ও হতোদ্যম পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
অবশেষে ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান ৯৩,০০০ হাজার সৈন্যসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এরই মাধ্যমে নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান হয়।
প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙ্গালী জাতির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র  বাংলাদেশ
এ বছর বাংলাদেশ পূর্ণ করবে বিজয়ের ৪৩ তম বছর।

Saturday, November 8, 2014

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার গণ

জেঃ এম, এ, জি ওসমানী, 
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক

সেক্টর কমান্ডার গণ :

১ নং : মেজর জিয়াউর রহমান [ বীর উত্তম ]
সেক্টর এলাকা – চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম। সময় – এপ্রিল-জুন পর্যন্ত।
১ নং : মেজর রফিকুল ইসলাম [ বীর উত্তম ]
সেক্টর এলাকা – চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম। সময় –

২ নং : মেজর খালেদ মুশাররফ [ বীর উত্তম ]
সেক্টর এলাকা – নোয়াখালী, কুমিল্লা, আখাউড়া, ভৈরব, ঢাকা ফরিদপুর। সময় – এপ্রিল-জুন পর্যন্ত।
২ নং : মেজর এ, টি, এম হায়দার [ বীর উত্তম ]
সেক্টর এলাকা – নোয়াখালী, কুমিল্লা, আখাউড়া, ভৈরব, ঢাকা ফরিদপুর। সময় – জুন-ডিসেম্বর পর্যন্ত।

৩ নং : মেজর কে, এম সফিউল্লা [ বীর উত্তম ]
এলাকা – আখাউড়া, ভৈরব, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, ঢাকা জেলার কিছু অংশ। সময় – এপ্রিল-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
৩ নং : মেজর এ, এন, এম নুরুজ্জামান [ বীর উত্তম ]
এলাকা – আখাউড়া, ভৈরব, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, ঢাকা জেলার কিছু অংশ। সময় – সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত।

৪ নং : মেজর চিত্ত রঞ্জন দত্ত [ বীর উত্তম ]
এলাকা – সিলেটের খোয়াই সায়েস্থাগঞ্জ রেল লাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর কিছু অংশ। সময় – ডিসেম্বর পর্যন্ত।

৫ নং : মেজর মীর শওকত আলী [ বীর উত্তম ]
এলাকা – সিলেট ডাউকি সড়ক থেকে সুনামগঞ্জ ময়মনসিংহ জেলার সীমান্ত পর্যন্ত। সময় – ডিসেম্বর পর্যন্ত।

৬ নং : উইং কমান্ডার এম, কে, বাশার [ বীর উত্তম ]
এলাকা – রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর ও ঠাকুরগাও জেলা পর্যন্ত। সময় – জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত।

৭ নং : মেজর নাজমুল হক  [ বীর উত্তম ]
এলাকা – দিনাজপুর রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়া পর্যন্ত। সময় – জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত।
৭ নং : মেজর কাজী নুরুজ্জামান  [ বীর উত্তম ]
এলাকা – দিনাজপুর রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়া পর্যন্ত। সময় – আগস্ট-ডিসেম্বর পর্যন্ত।

৮ নং : মেজর আবু ওসমান চৌধুরী  [ বীর মুক্তিযুদ্ধা ]
এলাকা – বৃহত্তর যশোর, ফরিদপুরে এবং দোলদপুর সাতক্ষীরা সড়ক বাদে খুলনা পর্যন্ত। সময় – এপ্রিল-আগস্ট পর্যন্ত।
৮ নং : মেজর এম, এ, মঞ্জুর  [ বীর উত্তম ]
এলাকা – বৃহত্তর যশোর, ফরিদপুরে এবং দোলদপুর সাতক্ষীরা সড়ক বাদে খুলনা পর্যন্ত। সময় – আগস্ট-ডিসেম্বর পর্যন্ত।

৯ নং : মেজর এম, এ, জলিল  [ বীর মুক্তিযুদ্ধা ]
এলাকা – দোলদপুর সাতক্ষীরা সড়ক থেকে দঃ খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা পর্যন্ত। সময় – ডিসেম্বর পর্যন্ত।

১০ নং সেক্টর :-
অভ্যন্তরীণ নো-পথ এবং সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল ব্যতিত চট্টগ্রাম ও চালনা নোবন্দর। মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিংপ্রাপ্ত নো-কমান্ডার যখন যে সেক্টরে এ্যাকশন করেছেন তখন সে সব সেক্টর কমান্ডারদের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করেছেন।

১১ নং : মেজর আবু তাহের [ বীর উত্তম ]
এলাকা – কিশোরগঞ্জ বাদে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা। সময় – আগস্ত-নভেম্বর পর্যন্ত।
১১ নং : স্কো, লি এম, হামিদুল্লাহ খান
এলাকা – কিশোরগঞ্জ বাদে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা। সময় – নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত।

অতিরিক্ত সেক্টর কমান্ডার কাদের সিদ্দিকী
এলাকা – টাঙ্গাইল জেলা ছাড়া ময়মনসিংহ ও ঢাকা জেলার অংশ বিশেষ। এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১৫০০০ এবং এ্যাকশন লড়াই তিন শতাধিক।

Thursday, November 6, 2014

পুরুষের চুল পড়া রোধে ৬টি বিশেষ যত্ন

কর্মব্যস্ত পুরুষদের উচিৎ সবসময় শরীরের পাশাপাশি চুলগুলোরও যত্ন নেয়া। কারণ পুরুষদের অনেক সময় ধরে বাইরে থাকতে হয় এবং বাইরের ধুলো-বালি, রোদ চুলের অনেক ক্ষতি করে। এবং এতকিছুর পর সঠিক যত্নের অভাবে চুল পড়তে শুরু করে এবং ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্যটাই মাটি হয়ে যায়। তাই শত ব্যস্ততার ফাঁকে সময় করে হলেও চুলের যত্ন নেয়া খুব জরুরী। জেনে নিন পুরুষের চুল পড়া রোধে যে ৬টি যত্ন জরুরী।

১। সপ্তাহে একদিন গরম খাঁটি নারিকেল তেলের সাথে ভিটামিন “ই” ক্যাপসুল মিশিয়ে চুলে ম্যাসেজ করতে পারেন। (ক্যাপসুল ফুটো করে ভেতরের নির্যাস বের করে নেবেন)

২। চায়ের লিকার খুব ভালো কন্ডিশনারের কাজ করে। পরিষ্কার পানিতে চা ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে তা ব্যবহার করুন শ্যাম্পু করার পর। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৩। মাসে ২ বার ডিমের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে সুন্দর ও মসৃণ।

৪। চুল যেমনই হোক তেল ম্যাসেজ চুলের জন্য খুব উপকারী। সপ্তাহে ২ দিন তেল ম্যাসেজ করে, একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে চিপে পানি ফেলে নিন তারপর মাথায় গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন।

৫। আপনার ব্যবহার করা চিরুনি অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না। চিরুনি সবসময় পরিষ্কার রাখুন।

৬। হেয়ার স্প্রে, জেল খুব বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।

জিম্বাবুয়ে অলআউট, ৬৫ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানিয়েছিলেন, খুলনা টেস্ট জিততে হলে বৃহস্পতিবার প্রথম সেশনেই জিম্বাবুয়ের ৫ উইকেট তুলে নিতে হবে। কথামত কাজও করলেন সাকিব আল হাসান। তাকে সঙ্গ দেন রুবেল হোসেন ও তাইজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের পঞ্চম ওভারেই জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত করেন সাকিব। ওভারের প্রথম বলে সাকিবের বলে সরাসরি বোল্ড হন হ্যামিলটন মাসাকাদজা। আগে দিন ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতকের স্বাদ পাওয়া মাসাকাদজা ১৫৮ রানে সাজঘরে ফিরেন। ৩২৬ বলে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১৫৮ রান করেন। ক্যারিয়ারের এটি তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

একই ওভারের শেষ বলে আরেকটি উইকেট নেওয়ার সুযোগ পান সাকিব। কিন্তু মাসাকাদাজার পরিবর্তে ব্যাটিংয়ে আসা ওয়ালার পঞ্চম বলে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন। সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন পেসার শাহাদাত হোসেন।

তবে ওয়ালারকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি সাকিব। ব্যাক্তিগত ৬ রানে সাকিবের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন ওয়ালার। ম্যাচে এটি সাকিবের পঞ্চম উইকেট। এ নিয়ে ১৩ বার পাঁচ উইকেট পেলেন সাকিব। এবং জিম্বুাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয়।

সাকিবের পর সকালে দ্যুতি ছড়ান পেসার রুবেল হোসেন। আগের দিন ভালো বোলিং করেও উইকেট না পাওয়ার আক্ষেপে রুবেল ১২৪তম ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন চাতারা (০)।পঞ্চম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাতসাই এমশ্যাংউই (০)।

উইকেটের একপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিল লেগে থাকলেও অন্যপ্রান্তে অবিচল থাকেন চাকাবা। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে নেন তিনি। শতকের পর ইনিংসটি আর বড় করতে পারেনি চাকাবা। ঢাকা টেস্টের নায়ক তাইজুলের বলে এলবিডাব্লিউর শিকার হন চাকাবা। ২৩২ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ১০১ রান আসে ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে।

শেষ পর্যন্ত ৩৬৮ রানে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ৬৫ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।

এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশ ৪৩৩ রান করে। শতক হাঁকান তামিম ইকবাল (১০৯) ও সাকিব আল হাসান (১৩৭)। ৫৬ রান আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে।

Wednesday, November 5, 2014

বাংলাদেশের শীতের পিঠাপুলি

শীত আসি আসি করছে। নতুন চাল, নতুন গুড়ের ঘ্রাণে ম-ম হবে চারপাশ। নানা রকম পিঠাপুলির রেসিপি দেখে নিন এখনই।

১. ভাপে পুলি

পুরের উপকরণ: নারকেল কোরানো ২ কাপ, তিল আধা কাপ, খেজুরের গুড় ১ কাপ, এলাচির গুঁড়া সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে চুলায় দিয়ে নাড়তে হবে, চটচটে হলে নামাতে হবে।

উপকরণ: আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, ময়দা ১ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, পানি ২ কাপ, তেল ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: পানি, তেল ও লবণ চুলায় দিন। ফুটে উঠলে চালের গুঁড়া ও ময়দা দিয়ে খামির করে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। অর্ধচন্দ্রাকারে কেটে আঙুল দিয়ে চেপে চেপে পুর ভরে পিঠার মুখ বন্ধ করে নিন। স্টিমারে অথবা পানির হাঁড়ির মুখে ঝাঁজরি দিয়ে পিঠা ভাপ দিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

২. মাংস-পেঁয়াজে ম্যারা পিঠা

পিঠা তৈরি উপকরণ ১: আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, পানি দেড় কাপ, লবণ আধা চা-চামচ।

প্রণালি: চালের গুঁড়া শুকনা খোলায় টেলে নিন। লবণ ও পানি একসঙ্গে চুলায় দিয়ে ফুটে উঠলে তাতে চালের গুঁড়া দিয়ে খামির করে নিন। এটি কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। ঠান্ডা হলে ভালো করে মথে হাতে তেল লাগিয়ে ম্যারা পিঠার আকার করে ভাপে সেদ্ধ করতে হবে।

উপকরণ ২: ম্যারা পিঠা টুকরা ৪ কাপ, সেদ্ধ মাংসের কুচি ২ কাপ, পেঁয়াজ মোটা কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি আধা কাপ, গাজরের কুচি আধা কাপ, ক্যাপসিকাম আধা কাপ, টমেটো আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, পনির কুচি আধা কাপ, গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, অলিভ অয়েল ৪ টেবিল চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি: তেল গরম করে তাতে মাংস ৪-৫ মিনিট ভেজে নিন। এবার বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভেজে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

৩. মাংসের ধুপি পিঠা

উপকরণ ১: মুরগির মাংস ছোট করে কাটা ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি: মাংস সয়াসস দিয়ে মাখিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তেল গরম করে আদা, রসুন ও মাংস দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে নিন। বাকি সব উপকরণ দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।

উপকরণ ২: আতপ চালের গুঁড়া ১ কাপ, সেদ্ধ চালের গুঁড়া ২ কাপ, নারকেল কোরানো ১ কাপ, লবণ আধা চা-চামচ, কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো, পনির কুচি আধা কাপ, পুদিনাপাতা কুচি সিকি কাপ।

প্রণালি: আতপ চালের গুঁড়া, লবণ ও পানি এমনভাবে মেশাতে হবে, যেন চালের গুঁড়া দলা না বাঁধে। এবার সেদ্ধ চালের গুঁড়া বাঁশের চালুনিতে চেলে নিয়ে তাতে নারকেল মিশাতে হবে। এই দুই মিশ্রণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। পিঠার খোরাতে কিছু চালের গুঁড়ার মিশ্রণ, মাংস, পনির, পুদিনাপাতা দিয়ে সাজিয়ে নিন। এর ওপর আবার চালের গুঁড়া দিয়ে ঢেকে দিন। এবার হাঁড়িতে ভাপে পাতলা ভেজা কাপড় ধরে পিঠা উলটে ভাপা পিঠার নিয়মে ভাপ দিতে হবে।


রেসিপি: সিতারা ফিরদৌস

Saturday, October 18, 2014

বাংলাদেশের অহংকার কক্সবাজার

কক্সবাজারের আদিনাম কি ছিল জানেন? পালংকি বা প্যানোয়া, যার অর্থ হলুদ ফুলের দেশে
ব্রিটিশ শাসনামলে সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট হিরাম কক্সকে পাঠানো হয় এই হলুদ ফুলের দেশে, এবং তিনি এসেই একটা বাজার স্থাপন করে ফেলেন। হিরাম কক্সের নাম অনুসারেই বাজারটির নামকরন করা হয়- কক্সবাজার! এবং পরবর্তীতে জেলার নামও হয়ে ওঠে তাই।
কি নেই কক্সবাজারে!!
চোখের-মনের খোরাক যোগাবার মতন উপাদানে ভরপুর বাংলাদেশের অহংকার এই কক্সবাজার জেলা। তবে সবচাইতে আকর্ষণীয় সম্ভবত এর সমুদ্র সৈকত। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে জীবনে বেড়াতে একবার যেতে চান না, এমন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ শত খুঁজেও মিলবে কিনা সন্দেহ।
হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতটি পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ কিলোমিটার।
আসুন জেনে নেই এই সমুদ্র সৈকতে বেড়ানো সম্পর্কে কিছু তথ্য
অন্যান্য সকল আকর্ষণকে বাদ দিলেও, কেবল এই সমুদ্র সৈকতের টানে প্রতিবছর দেশ বিদেশের হাজার হাজার পর্যটক ছুটে যান কক্সবাজারে। আর সত্যি বলতে কি, যে একবার গিয়েছে সে বারবার ছুটে যেতে বাধ্য এখানে। কেবল একবারের দেখায় মিটে যাবে সাধ, এমন স্থান আর যেটাই হোক না কেন কক্সবাজার নয় কিছুতেই। প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল সাগর আর চোখ ধাঁধানো তার রূপ- বঙ্গোপসাগর আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত।
বিশাল বিশাল ঢেউ গুলোর মাথায় শুভ্র ফেনার মুকুট, সৈকতের ভালবাসার টানে ছুটে এসে আছড়ে পড়ছে প্রবল শক্তি মত্তায়। আর সেই সৌন্দর্যে উত্তাল সাগরের বুকে অস্ত যাচ্ছে টুকটুকে লাল একটা সূর্য...
কল্পনায় এলো কি দৃশ্যটা? যতটুকুন আপনি কল্পনা করতে পারলেন, তাইচাইতেও বহু বহু গুন বেশী সুন্দর সূর্যাস্তের সেই দৃশটি। সৈকতে গেলেই দেখতে পাবেন অসংখ্য পর্যটক ক্যামেরা বন্দী করে রাখার চেষ্টা করছে অতুলনীয় সেই রূপকে। সাথে ক্যামেরা নেই? তাতেও নেই অসুবিধা। সৈকতেই পেয়ে যাবে অসংখ্য পেশাদার ফটোগ্রাফার, যারা কিনা মনের মতন করে তুলে দেবে আপনার প্রিয় মুহূর্ত গুলোর ছবি। আর ফোন নাম্বার দিলে ছবি প্রিন্ট করিয়ে পৌঁছে দেবে আপনার হোটেল রুম পর্যন্ত।
কেবল সূর্যাস্তের সময়ে নয়, ভিড় হয় ভীষণ সূর্যোদয়ের সময়েও।
সূর্য উদয় দেখবার আকর্ষণ তো আছেই, সাথে আছে শামুক ঝিনুক কুড়োবার আনন্দ। জোয়ারের টানে ভেসে আসে প্রচুর শামুক, ঝিনুক, শঙ্খও, কড়ি, তারামাছ আরও কত কি! কথিত আছে, সমুদ্র নাকি কিছু নিয়ে নিলে তা আবার ঠিক ঠিক ফিরিয়ে দেয়। কক্সবাজারে সকাল বেলায় সৈকতে গেলে হাতে নাতে প্রমাণ পেয়ে যাবেন সেই সত্যটিরও।
সাগরের বিশাল বুকে জমে থাকা রত্ন ভাণ্ডারের যে ছিটেফোঁটা এসে উপস্থিত হয় জোয়ারের টানে, তা আপনাকে বিস্মিত অবশ্যই। আর যদি করতে চান সমুদ্র স্নান, সেটার জন্য ভালো জোয়ারের সময়টাই। ভাটার সময়ে সমুদ্রে নামা একেবারেই অনুচিত, সাগরের প্রবল আকর্ষণের সামনে কিন্তু দক্ষ সাঁতারুর দক্ষতাও হার মেনে নেয়। স্নান করতে নামার আগে অবশ্যই দেখে নিন সৈকতে লাল পতাকা উড়ানো হয়েছে না সবুজ পতাকা? সবুজের অর্থ সমুদ্র স্নানের জন্য অনুকূল, কিন্তু লাল পতাকার মানে স্নান এখন নিষিদ্ধ।
সৈকতের একটি অংশে পরিকল্পিত উপায়ে গড়ে তোলা হয়েছে ঝাউবন। ছবি তোলার জন্য অসাধারণ সুন্দর একটি পরিবেশ পাবেন এখানে। এছাড়াও কেনাকাটা করার জন্য পাবেন সমুদ্র সৈকতে হাজারো সৌখিন পণ্যের পসরা। বার্মিজ আচার হতে শুরু করে পোশাক পরিচ্ছদ, শামুক-ঝিনুক-কড়ি দিয়ে তৈরি নানান রকম গৃহ সজ্জার পণ্য, সৌন্দর্য চর্চার নানান রকম ভেষজ উপাদান, নান্দনিক অলংকার, শুঁটকি মাছ, নানান রকম বার্মিজ শো পিস ইত্যাদি আরও হরেক রকম বস্তু পাবেন সৈকতের নিকটে গড়ে ওঠা ছোট ছোট মার্কেটে। শৌখিন বস্তু ছাড়া এখানে মিলবে দৈনন্দিন সকল পণ্যই।
সৈকতের বিনোদন
কেবল সমুদ্র দর্শন আর সমুদ্র স্নান নয়, সৈকতে পেয়ে যাবেন খেলাধুলা ও বিনোদনের নানান সুব্যবস্থা। আছে ওয়াটার বাইক, স্পীড বোটে চেপে সমুদ্র ভ্রমণের ব্যবস্থা। চাইলে করতে পারেন সার্ফিং সমুদ্রের ফেনিল ঢেউয়ের বুকে। এছাড়া সৈকতের নরম বালু ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদি খেলার জন্য খুব আরামদায়ক। শিশুরা কেবল নয়, বড়রাও এখানে মেতে ওঠে বালির ঘর তৈরির খেলায়। মার্কেটে একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন রঙ্গিন সব ঘুড়ি। নানান আকৃতির এই রঙ্গিন ঘুড়ি আপনার মনোরঞ্জন করবেই করবে নিশ্চিত। জেনে রাখুন, প্রতিবছর কক্সবাজারে আয়োজিত হয় ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব, এবং দেশ বিদেশের অসংখ্য মানুষ যোগ দিয়ে থাকেন এই উৎসবে।
সৈকতের খাবার
গোটা কক্সবাজার জুড়েই আছে রসনা বিলাসের নানান রকম সুব্যবস্থা। এবং সমুদ্র সৈকতেও তার ব্যতিক্রম নেই এতটুকু। ভোর হোক কিংবা সন্ধ্যা, জনসমাগম শুরু হলেই সৈকতে মিলবে নানান রকম খাবার। ঠাণ্ডা পানি থেকে শুরু করে নানান রকম কোমল পানীয়, ডাব, চা-কফি, ঝালমুড়ি, ডিম সিদ্ধ, তরতাজা মৌসুমি ফল ইত্যাদি আপনার কাছে নিয়ে আসবে ফেরিওয়ালারাই। আরেকটু ভরপেট কিছু খেতে চাইলে সৈকত ঘেঁষেই আছে নানা রকম ছোট ছোট রেস্তরাঁ। মোটামুটি ২৪ ঘণ্টাই এখানে মিলবে সুস্বাদু খাবার। সামুদ্রিক মাছের নানান রকম ডিশ থেকে শুরু করে পাবেন চটপটি ফুচকা আর ভিন্ন স্বাদের কাবাবও।
কিভাবে যাবেন-
ঢাকা থেকে সরাসরি যাওয়া যায় কক্সবাজার। রাজধানীর পান্থপথ কিংবা মালিবাগে গেলেই পেয়ে যাবেন এসি, নন এসি বিভিন্ন কোম্পানির বাস। এসব বাস আপনাকে সরাসরি পৌঁছে দেবে কক্সবাজার শহরে। সোহাগ পরিবহন, সিল্ক লাইন, এস এ পরিবহন, বাগদাদ একপ্রেস, ইউনিক, শ্যামলী ইত্যাদি পরিবহনের বাস উল্লেখ যোগ্য। এসি/নন এসি ভেদে ৫৫০ থেকে ১৩০০ টাকার মাঝে পড়বে জনপ্রতি খরচ। এছাড়া প্লেনে করেও যাওয়া সম্ভব, জন প্রতি খরচ পড়বে ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার মাঝে।
ট্রেনে করে কক্সবাজার যেতে চাইলে প্রথমে যেতে হবে চট্টগ্রাম, সেখান থেকে বাসে চেপে পৌছাতে হবে কক্সবাজার। উপরে উল্লেখিত পরিবহন কোম্পানির সুবিধা পাবেন আপনারা চট্টগ্রামেও।
এই তো গেলো কক্সবাজার যাত্রার উপায়, আগামী পর্বে দেয়া হবে হোটেল ও গেস্ট হাউজ সমূহের ঠিকানা ও ফোন নম্বর।